নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামে একসাথে পাঁচজোড়া তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন গণবিয়ে সম্পন্য হয়েছে। প্রচলিত নিয়মের বাইরে সামর্থ অনুযায়ী ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাদ যোহর নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী শহীদী জামে মসজিদে এই গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ে উপলক্ষে পোরকরা গ্রামে ছিল সাঁজ সাঁজ রব। আনন্দ, উৎসবের কোন কমতি ছিল না আয়োজনে। প্রায় তিন হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয় এদিন। অনুষ্ঠানে বর-কনের আত্মীয় স্বজন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের পিঁড়িতে বসা নবদম্পতিরা হলেন- বেলাল আহম্মেদ-মিম আক্তার (দেনমোহর- ১০ হাজার টাকা), তুহিন মাহমুদ-শামীমা আক্তার (দেনমোহর- ২০ হাজার টাকা), আলী হোসেন-মারজিয়া আকন (দেনমোহর- ৫ হাজার টাকা), রিয়াজ উদ্দিন-সাদিয়া আক্তার (দেনমোহর- ৫ হাজার টাকা), সালাউদ্দিন শেখ-মৌসুমী আক্তার (দেনমোহর ২৫ হাজার টাকা)। বর ও কনের পরিবারের উপস্থিতিতে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক এ বিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে এ বিয়ের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক হলো- এ বিয়েতে কোনো যৌতুকের লেনদেন হয়নি, বিয়ে পড়িয়ে কেউ অর্থও গ্রহণ করেনি। পছন্দের ব্যাপারে পাত্র-পাত্রীর পারস্পরিক স্বাচ্ছন্দ্য মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তাব দেওয়া এবং মোহরানা নগদ পরিশোধ করে বিয়ে সংঘটিত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল তালুকদার বলেন, এমন বিয়েতো আগে কখনো দেখিনি, আনন্দ আছে কিন্তু কোনো উশৃঙ্খলতা নেই, সহস্রাধিক মানুষের আয়োজন কিন্তু কোনো উচ্চবাক্য নেই, কোনো ঝামেলা নেই।
স্থানীয় দাওয়াতী মেহমানরা বলেন, যৌতুকের বিরুদ্ধে এক নীরব প্রতিবাদ দেখলাম, এমন উদ্যোগ যদি আরও বেশি বেশি নেওয়া হয় তাহলে যৌতুক প্রথা সমাজ থেকে ইতিহাস হয়ে যাবে, বিয়েতে জবরদস্তি থাকবে না, বিয়ে সহজ হবে এবং বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক ও সমাজ থেকে দূর হয়ে যাবে
পাঠকের মতামত